ইসলাম এমন এক শাশ্বত জীবনব্যবস্থা, যা সতত পরিবর্ধনশীল। ইসলামের প্রাথমিক যুগে—কী রণাঙ্গন, কী শিক্ষাঙ্গন—সবক্ষেত্রেই ছিল মুসলিমদের জয়জয়কার। তাই স্বাভাবিকভাবেই পাশ্চাত্য ‘সভ্যতার’ কাছে ইসলাম হয়ে উঠেছিল এক মূর্তিমান আতঙ্কের নাম। পাছে নিজেদের ভূমি আর মগজের অধিকার হারিয়ে বসে—এই ভয়ে তারা শুরু করেছিল সুচতুর এক ষড়যন্ত্র। সেই কূটকর্মের একাডেমিক রূপই হলো ‘ওরিয়েন্টালিজম’, যেটাকে আমরা ইদানীংকালের সহজ বাংলায় ‘প্রাচ্যবাদ’ নামে চিনি।
প্রাচ্যবাদ এমন এক বিষবৃক্ষের নাম, যা প্রোথিত হয় মনের গহীনে। অতঃপর ডালপালা মেলে জন্ম দেয় নানা ইজমের। হাদীস অস্বীকারের ফিতনা থেকে শুরু করে পাঠ্যবইয়ের ইতিহাস-বিকৃতি—সবই এই অপয়া বস্তুর কালো ছায়া। মুসলিমদেরকে দ্বিধান্বিত, খণ্ডিত ও বিভ্রান্ত করতে এই প্রাচ্যবাদের জুড়ি মেলা ভার। তাই সচেতন মুসলিম মননকে এই বিষের স্বরূপ চিনিয়ে দিতেই ‘প্রাচ্যবাদের ইতিকথা’র জন্ম।
প্রাচ্যবাদ এক প্রকারের উপনিবেশ, যা গড়ে উঠে ব্যক্তির মনে, মননে। এই বুদ্ধিবৃত্তিক দাসত্ব থেকে মুক্তি পেতে প্রাচ্যবাদের আগাগোড়া ভালোভাবে জেনে নেওয়া আবশ্যক। আগ্রহী পাঠকের এমন জ্ঞানতৃষ্ণাই মেটাবে ‘প্রাচ্যবাদের ইতিকথা’।