হযরত উমর রা.। যাকে দেখলে শয়তানও নিজের গতিপথ পালটে নিত, যে পথে উমর যেতেন শয়তান সে পথ ছেড়ে বিকল্প পথ খুঁজত। যার ব্যাপারে প্রিয় নবী সা. বলেছিলেন, আমার পরে যদি কেউ নবী হত তাহলে সে উমরই হত। সাদাসিধে জীবনযাপন ও ন্যায়বিচারের অনন্য নজির স্থাপন করেছিলেন যিনি তিনি উমর রা.। দুনিয়াতে জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত ১০ জন সাহাবীর মধ্যে তিনি অন্যতম।
.
কেমন হত যদি উমরের যুগ আবার ফিরে আসত? চতুর্দিকে ন্যায়-ইনসাফ ছড়িয়ে পড়ত। নারীরা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত থাকতে হত না। ধনী-গরিবের ভেদাভেদ থাকত না,
থাকত না রাজা-প্রজার তফাত।
.
আমরা যদি আগামীর প্রথিবীকে সুন্দরভাবে রেখে যেতে চাই, তাহলে আমরা নিজেরা ও নিজেদের বাচ্চাকাচ্চাকে সেসব মহান ব্যক্তিদের আদর্শে গড়ে তুলতে হবে, যাদের জীবন ছিল পরিশুদ্ধ।যারা ছিলেন চিন্তা-চেতনা, কাজকর্মে আদর্শবান। সেসব ব্যক্তিদের মাঝে সাহাবায়ে কেরাম ছিলেন সব থেকে পরিশুদ্ধ ও চরিত্রবান। এর মাঝে বিশেষ ছিলেন আশারায়ে মুবাশশারা।
.
আমাদের আগামী প্রজন্ম যাতে আদর্শবান হয়ে গড়ে ওঠে, সে লক্ষ্যেই ইয়াহইয়া ইউসুফ নদভী হাফি. শিশু-কিশোরদের উপযোগী করে বেহেশতের সুসংবাদপ্রাপ্ত ১০ জন সাহাবীর আলাদা আলাদা জীবনী রচনা করছেন। এ পর্যন্ত প্রথম দুই খলীফার জীবনী বের হয়েছে। যারা কিশোরদের হাতে ভালো বই তুলে দিতে চান, তাদের জন্য এই সিরিজটি উত্তম পাথেয় হবে ইনশাআল্লাহ।